পুর্বাচল নতুন শহর রাজউকের তো বটেই পুরো দেশের জন্য একটি আকর্ষণীয় প্রকল্প। এটি দেশের অন্য যেকোন শহরের চেয়ে সার্বিকভাবে পরিকল্পিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১১১, ৭১ ও ৫২তলা ভবন রাজউক পূর্বাচল শহরে যোগ করবে ভিন্নমাত্রা। ইতোমধ্যেই সবগুলো সেক্টরে পৌঁছেছে বিদ্যুৎ।
পানির লাইনও প্রায় প্রস্তুত। বাড়ি করলে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে গভীর নলকূপ স্থাপনের। এলাকাজুড়ে রাস্তা নির্মাণের কাজও অনেকটা শেষ। দুটি থানা করার প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত। ২০২৪ সালেই পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চায় রাজউক।
ঢাকার খিলক্ষেত, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের প্রায় ৬ হাজার ২২৭ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় এই আবাসিক প্রকল্প। ২৬ হাজার ২১৩টির মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪ হাজার প্লট গ্রাহকদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ হয়ে গেছে ২৫ হাজার প্লট। এর মধ্যে ১৪শ ৪০টি প্লট দেয়া হয়েছে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষের জন্য।
বিদ্যুৎ, পানি, রাস্তা, লেকসহ সবই করা হচ্ছে মনোরমভাবে। পূর্বাচল শহর বসবাসের উপযোগী করতে প্রস্তুতি চলছে। মেট্রোরেলের জন্য জমি বরাদ্দ আছে।
রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা জানিয়েছেন, ১১১, ৭১ ও ৫২তলা বিশিষ্ট তিনটি টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে সামনের সেপ্টেম্বরে। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের জন্য দেয়া প্লটগুলো বাস্তবায়ন হলে পুরোপুরি বসবাসযোগ্য প্রকল্পটি এখন মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি করতে পারবেন।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল হক বলেন, মানুষ মনে করছে ওখানে গেলে বাচ্চাকে কোথায় পড়াব, হাসপাতালের দরকার হবে- এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হচ্ছে। আর আইন শৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত দেয়া হয়েছে, প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি।
দ্রুত যদি দুটি থানা স্থাপন করা যায় তাহলে এখানে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটবে। ২ বছরেরই মধ্যেই পূর্বাচল পুরোপুরি বসবাস উপযোগী হয়ে যাবে। আধুনিক ও পরিকল্পিত এই প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার ওপর চাপ কমে আসবে বলছে রাজউক।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে ওখানে ৫০ লাখ লোক বসবাস করতে পারবে। মেট্রোরেল হচ্ছে আর ১৪ লেনের রাস্তা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন যে উত্তরার থেকেও এটা কাছে হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার উপর অবশ্য চাপ কমবে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় পূর্বাচলের সেক্টরগুলোতে দিন দিন বাড়ছে বাড়ি নির্মাণ, অত্যাধুনিক ডিজাইনের বাড়ি নির্মাণ করছেন প্লট মালিকেরা। স্থানীয়রা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো পেলেই দ্রুতই বাড়তে থাকবে এর ধারাবাহিকতা। ১৯৯৫ সালে শুরু হওয়া রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে ৭ বার। বর্ধিত সময় অনুযায়ী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা।
টিএইচ